লেখক : ইমাম ইবনু রজব হাম্বলি (রহঃ) প্রকাশনী : আর রিহাব পাবলিকেশন বিষয় : ইবাদত, আত্মশুদ্ধি ও অনুপ্রেরণা অনুবাদক: নাঈম আদনান । পৃষ্ঠা: ৮০মানুষদের মধ্যে তারাই উত্তম যারা নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের পথ এবং তার সাহাবাদের প্রতিভা অনুসরণ করেছে। যেমন ইবাদতের শারিরীক আমলের ক্ষেত্রে তারা ছিলেন মধ্যমপন্থি। অন্তরের হালচাল ও কাজ-কারবার শুদ্ধ করার ব্যাপারে তারা সংগ্রাম করেছেন। কারণ শারীরিক সফর নয়, অন্তরের সফর দ্বারাই আখিরাতের যাত্রা সংক্ষিপ্ত করা সম্ভব।এক জ্ঞানী ব্যক্তির কাছে একজন লোক এসে বলল, ‘আমি অনেক সফর করেছি এবং আপনার কাছে পৌঁছতে কষ্ট হয়েছে।’ তিনি উত্তর দিলেন, ‘এটা দুঃসাধ্য যাত্রার ব্যাপার নয়, বরং আপনার থেকে এক কদম নিচের দূরত্বে নিজের দূরত্ব। তারপর আপনি খুঁজে পাবেন লক্ষ্যকে।’আবু যায়েদ রহ. বলেন, ‘আমি স্বপ্নে সর্বশক্তিমান স্রষ্টা দেখতে পেলাম। তাঁকে জিজ্ঞাসা করলাম, “হে আল্লাহ! একজন ব্যক্তি আপনার পথ কিভাবে অতিক্রম করবে?” তিনি উত্তর দিলেন, “নিজেকে পরিত্যাগ কর এবং সাদরে চলে আসো!” (ইবনুল জাওযি, সিফাতুস সাফওয়াহ, ভলিউম : ৪, পৃষ্ঠা: ১১১, ১৭৯)এই উম্মাহকে যা দেওয়া হয়েছে তা আর কোন উম্মাহকে দেওয়া হয়নি। পরবর্তীতে কর্মদক্ষতার দিক দিয়ে দেওয়া হয়েছে নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে, তিনি সর্বোত্তম সৃষ্টি, তার দিক নির্দেশনা ছিলো সর্বোত্তম দিক নির্দেশনা, তার মাধ্যমে আল্লাহ ধর্মকে সহজ করেছেন। তার মাধ্যমেই উম্মাহ্ অনেক দুর্ভোগ ও সমস্যা দূর করেছেন। যে তাকে অনুসরণ করলো সে আল্লাহকে মান্য করলো এবং তাঁর পথনির্দেশনা মেনে চলল। তার বিনিময়ে তিনি তাকে ভালোবাসবে।