লেখক : আল্লামা ইবনুল জাওযী (রহঃ)
প্রকাশনী : মাকতাবাতু ইবরাহীম
বিষয় : ইসলামি ইতিহাস ও ঐতিহ্য, ইসলামী ব্যক্তিত্ব, ইসলামী সাহিত্য, গল্প-উপন্যাস এবং সফরনামা
পৃষ্ঠা : 208, কভার : হার্ড কভার, সংস্করণ : 1st published 2020
অনুবাদক– কাজী আবুল কালাম সিদ্দীক
সম্পাদনা–মুফতী কাজী মঈনুল হকসালাফে সালেহিনের অনুপম ও অনুসৃত ব্যক্তিত্ব, জগদ্বিখ্যাত ও বিদগ্ধ আলেম, শায়েখ আবুল ফারজ আব্দুর রহমান বিন আলি বিন মুহাম্মদ; যিনি ইবনে জাওযি নামেই সুবিদিত (মহান আল্লাহ
তাঁকে সুশীতল রহমতের চাদরে ঢেকে নিন) বলেন—সমস্ত প্রশংসা সুমহান আল্লাহর, যিনি আমাদেরকে দ্বীনি ইলম হাসিলের তওফিক দিয়েছেন এবং সঠিক পথের দিশা দিয়েছেন। যিনি আমাদের অন্তরের সুপ্ত বহু তামান্না ও অগণিত আশা বাস্তবে রূপ দেন।দরুদ ও সালাম পেশ করছি সৃষ্টিকূলের সর্বশ্রেষ্ঠ মহামানব মুহাম্মদ (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর প্রতি, এবং দ্বীনের একান্ত ও একনিষ্ঠ ধারক বাহক আপামর সাহাবায়ে কেরামের প্রতি। বস্তুত, ওয়াজ-নসিহত হলো আত্মশুদ্ধির গুরুত্বপূর্ণ পথনির্দেশিকা এবং মুমিনের রুহের খোরাক। এর মাধ্যমেই পরিশুদ্ধ হয় মানব- আত্মা। এজন্যে তাজকিয়া বা আত্মশুদ্ধির মজলিসগুলোতে বুযুর্গদের উপদেশ-সম্বলিত বাণী ও ঘটনা বেশি বেশি আলোচনা হওয়া চাই।প্রখ্যাত তাবেয়ি মালেক ইবনে দিনার (রহিমাহুল্লাহ) বলেন— ‘ওয়াজ-নসিহতের মজলিসগুলো যেন জান্নাতেরই অংশবিশে।’ জগদ্বিখ্যাত সুফিসাধক জুনাইদ বাগদাদি (রহিমাহুল্লাহ) বলেন—’আত্মশুদ্ধিমূলক উপদেশ ও বাণী হলো গুনাহ ও নফসের কুমন্ত্রণার বিরুদ্ধে ঢালস্বরূপ।’ কেউ একজন তাকে জিজ্ঞেস করে, এ কথার কোন প্রমাণ আছে কি? উত্তরে তিনি পবিত্র কুরআনের এ আয়াতটি পড়ে শোনান, [যার অর্থ]’আমি আপনার কাছে বিগত নবিদের ঘটনাবলি বর্ণনা করে আপনার হৃদয়কে দ্বীনের ওপর অবিচল রাখি।’আলহামদুলিল্লাহ, বক্ষমাণ গ্রন্থে লেখক সুসংক্ষেপে পাঁচ শতাধিক দিল-কাড়া ঘটনা বর্ণনা করেছেন। পাঠকের পাঠ ও শ্রোতার শ্রবণ-সাবলিলতার সুবিধার্থে ঘটনাগুলোর বর্ণনাসূত্র বিলোপ করে দেয়া হয়েছে।