১৯১৭ সালে ইউরোপীয় ক্রুসেডারদের জেরুজালেম দখলের পর ড. মুহাম্মদ ইকবাল নিম্নের অন্তদৃৃষ্টিপূর্ণ চরণ দু’টি রচনা করেন: کھُل گئے، یاجوج اور ماجوج کے لشکر تمام چشمِ مسلم دیکھ لے تفسیرِ حرفِ ’یَنْسِلُوْنْ খুল গ্যয়ে ইয়াজুজ আওর মাজুজকে লস্কর ত্যমাম চ্যশমে মুসলিম দেখ লে ত্যফসীরে হ্যরফে ইয়ানসিলুন [বাঙ্গ-ই-দ্যরা, যরিফানা: ২৩] “ইয়াজুজ ও মাজুজের দলবল হয়ে গেল মুক্ত ইয়ানসিলুনের অর্থ মুসলিমদের চোখে উন্মুক্ত।” (এখানে ইশারাকৃত কুর’আনের আয়াতটি নি¤েœ উদ্ধৃত করা হল) وَحَرَامٌ عَلَىٰ قَرْيَةٍ أَهْلَكْنَاهَا أَنَّهُمْ لَا يَرْجِعُونَ ﴿٩٥﴾ حَتَّىٰ إِذَا فُتِحَتْ يَأْجُوجُ وَمَأْجُوجُ وَهُم مِّن كُلِّ حَدَبٍ يَنسِلُونَ ﴿٩٦﴾ “নিষেধাজ্ঞা জারি রয়েছে একটি শহরের (অর্থাৎ জেরুজালেমের) উপর, যাকে আমরা ধ্বংস করে দিয়েছি (এবং এর অধিবাসীরা সেখান হতে বহিষ্কৃত হয়েছে), (‘এই শহর আমাদের’ এই দাবি নিয়ে) তারা (অর্থাৎ সেই অধিবাসীরা) আর সেখানে ফিরে আসতে পারবে না, যতক্ষণ না ইয়াজুজ ও মাজুজকে মুক্ত করে দেয়া হচ্ছে এবং তারা সবদিকে ছড়িয়ে না পড়ছে (তারপরই তারা ইয়াজুজ ও মাজুজের বিশ্বব্যবস্থা কায়েম করবে)।” [কুর’আন, আল-আম্বিয়া, ২১:৯৫-৯৬] ১৯১৭ সালে ইউরোপীয় ক্রুসেডারদের জেরুজালেম দখলের পর ড. মুহাম্মদ ইকবাল নি¤েœর অন্তদর্ৃৃষ্টিপূর্ণ চরণ দু’টি রচনা করেন: کھُل گئے، یاجوج اور ماجوج کے لشکر تمام چشمِ مسلم دیکھ لے تفسیرِ حرفِ ’یَنْسِلُوْنْ খুল গ্যয়ে ইয়াজুজ আওর মাজুজকে লস্কর ত্যমাম চ্যশমে মুসলিম দেখ লে ত্যফসীরে হ্যরফে ইয়ানসিলুন [বাঙ্গ-ই-দ্যরা, যরিফানা: ২৩] “ইয়াজুজ ও মাজুজের দলবল হয়ে গেল মুক্ত ইয়ানসিলুনের অর্থ মুসলিমদের চোখে উন্মুক্ত।” (এখানে ইশারাকৃত কুর’আনের আয়াতটি নিম্নের উদ্ধৃত করা হল) وَحَرَامٌ عَلَىٰ قَرْيَةٍ أَهْلَكْنَاهَا أَنَّهُمْ لَا يَرْجِعُونَ ﴿٩٥﴾ حَتَّىٰ إِذَا فُتِحَتْ يَأْجُوجُ وَمَأْجُوجُ وَهُم مِّن كُلِّ حَدَبٍ يَنسِلُونَ ﴿٩٦﴾ “নিষেধাজ্ঞা জারি রয়েছে একটি শহরের (অর্থাৎ জেরুজালেমের) উপর, যাকে আমরা ধ্বংস করে দিয়েছি (এবং এর অধিবাসীরা সেখান হতে বহিষ্কৃত হয়েছে), (‘এই শহর আমাদের’ এই দাবি নিয়ে) তারা (অর্থাৎ সেই অধিবাসীরা) আর সেখানে ফিরে আসতে পারবে না, যতক্ষণ না ইয়াজুজ ও মাজুজকে মুক্ত করে দেয়া হচ্ছে এবং তারা সবদিকে ছড়িয়ে না পড়ছে (তারপরই তারা ইয়াজুজ ও মাজুজের বিশ্বব্যবস্থা কায়েম করবে)।” [কুর’আন, আল-আম্বিয়া, ২১:৯৫-৯৬] মূল কভার ডিজাইনটি মিসরের দালাল ফিদা’র করা। এই ডিজাইনটি একটি হাদিসের ভিত্তিতে করা হয়েছে, যেখানে বলা হয়েছে: ইয়াজুজ ও মাজুজ গ্যালিলি সাগর অতিক্রম করবে এবং ঐ সাগরের সবটুকু পানি “পান” করবে। কভার ডিজাইনের ফাটল ধরা উপকূল গ্যালিলি সাগরের শুকিয়ে যাওয়ার ইঙ্গিত দিচ্ছে, যা খুব শীঘ্রই ঘটতে যাচ্ছে। সাগরটি যখন শুকিয়ে যাবে, তখন ইসরাইলি রাষ্ট্রের জন্য যে পরিণতি অপেক্ষা করছে। পানিতে ইসরাইলি পতাকার ডুবে যাওয়াটা সেটারই প্রতীকী চিত্রায়ন। ইহুদি-খ্রিস্টান চক্রটিই ইয়াজুজ ও মাজুজ, যারা আজকের দিনে পশ্চিমা সভ্যতার ক্ষমতা নিয়ন্ত্রণ করছে এবং সেইসাথে মুসলিম বিশ্বসহ বাদ বাকি দুনিয়ার অধিকাংশ দেশের ক্ষমতার নিয়ন্ত্রণ নিজেদের হাতে কুক্ষিগত করে রেখেছে। তবে ঐসব দেশ এটার ব্যতিক্রম, যাদের সরকার প্যাক্স আমেরিকানা (মার্কিন সা¤্রাজ্যবাদ) ও প্যাক্স ব্রিটানিকা (ব্রিটিশ সাম্রজ্যবাদ )-এর কাছে মাথা নত করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। ইয়াজুজ ও মাজুজই প্রতারক ইসরাইলি রাষ্ট্রের সমর্থকদেরকে মানবজাতি এবং বিশেষভাবে আরবদের উপর অত্যাচারের স্টিম রোলার চালানোর খেলায় মাতিয়ে রেখেছে। আর ইয়াজুজ ও মাজুজই নিখুঁত প্রতারণার মাধ্যমে ইসরাইলি রাষ্ট্রকে তার চ‚ড়ান্ত পরিণতির দিকে নিয়ে যাচ্ছে।