আরববিশ্বে ইসলামি শাসনের পতন ও তার নেপথ্যকথা
লেখক : ড. ওমর সুলাইমান আল-আশকার
প্রকাশনী : মাকতাবাতুল হেরা
বিষয় : ইসলামি শাসনব্যবস্থা ও রাজনীতি

লেখক : ড. ওমর সুলাইমান আল-আশকার প্রকাশনী : মাকতাবাতুল হেরা বিষয় : ইসলামি শাসনব্যবস্থা ও রাজনীতি আরববিশ্ব আজ যেন জ্বলন্ত চুলার ওপর উত্তপ্ত এক কড়াই। সর্বত্র বিস্ফোরিত এক ভয়ানক আগ্নেয়গিরির মতো। কোথাও যদি তা থেমে যায়, তবে মনে হবে তার পূর্বে গত হয়েছে এক কঠিন বজ্রাঘাত। সম্প্রতি মুসলিমদের ওপর অন্যায়-অবিচার ও দমন-নিপীড়ন সুস্পষ্ট ও সুপ্রকাশিত। তারা আজ ষড়যন্ত্রকারীদের ভয়ানক চক্রান্তের শিকার। মুসলিমদের বিরুদ্ধে পাতা একাধিক প্রতারণার ফাঁদের বিষয়টি এখন সর্বজনসিদ্ধ। ব্যক্তি থেকে সমাজ, পরিবার থেকে রাষ্ট্র; সবখানেই এ ষড়যন্ত্রের ধারাবাহিকতা এখন আরও প্রবল। যুগে যুগেও এমনটি লক্ষ করা গেছে।১৮৮৩ সালে প্রণীত মিসরের সংবিধানটি ছিল মূলত ফ্রান্সের তৈরি। ফরাসি থেকে আরবিতে ভাষান্তর করে আরবি কপিকেই মূলকপি বলে প্রচার করা হয়েছে। আর ফরাসি কপিকে অনূদিত প্রতিলিপি বলে চালিয়ে দেওয়া হয়েছে। এ সবই ছিল মিথ্যা, বানোয়াট এবং আমাদের বিবেক-বুদ্ধি নিয়ে হাসি-ঠাট্টার সামান্য উদাহরণমাত্র।ইরাকেও ঘটেছিল এমনটি। ১৯১৮ সালে প্রণীত সেখানকার ফৌজদারি আইনটি মূলত ছিল ইংরেজিতে। পরবর্তী সময়ে আরবিতে অনুবাদ করে সেটিকেই মূলকপি হিসাবে অভিহিত করা হয়েছে।১৯৫৬ সনে লিবিয়া স্বাধীন হওয়ার পর সেখানেও এরূপ ঘটেছিল। এসবের পেছনে উদ্দেশ্য ছিল কোনোকিছু বুঝে ওঠার আগেই মুসলিমবিশ্বে ইসলামি শাসনব্যবস্থাকে (শরিয়ত) কৌশলে নির্মূল করে দেওয়া।তুর্কি সংবিধান নির্মূল করার পর তুরস্কে এক আজব ও অদ্ভুত নাগরিক-বিধি প্রণয়ন করা হয়েছিল। তুর্কি বিচারকবৃন্দ আঙ্কারার প্রবর্তিত সেই সুইস সংবিধানগুলো বুঝতে দীর্ঘদিন পর্যন্ত অপারগ ছিল। তা ছাড়া ইতালি থেকে সংগৃহীত অপরাধ দণ্ডবিধিকে বুঝতেও তুরস্কের বহু বছর লেগে গিয়েছিল। শেষপর্যন্ত ইতালিস্থ খ্রিষ্টান ধর্মযাজকদের দ্বারা সংশোধনী এনে সেগুলো সম্পাদন করা হয়েছিল।বিষয়টির ব্যাপকতা এবং তাৎপর্যের দিকে লক্ষ করে আরববিশ্বের শক্তিমান লেখক ড. ওমর সুলাইমান আল-আশকার গভীর গবেষণায় মনোযোগী হয়েছিলেন। তার গবেষণার চূড়ান্ত ফলাফলই হচ্ছে ‘আরববিশ্বে ইসলামি শাসনের পতন ও তার নেপথ্যকথা’।
৳ 210.00 ৳ 360.00
Cash On Delivery Purchase & Earn Delivery Charge Tk. 60(Online Order)
Product available
Share:
Top