লেখক : মরিয়ম জামিলা
প্রকাশনী : মাকতাবাতুল হেরা
বিষয় : ইসলামী সাহিত্য, গল্প-উপন্যাস এবং সফরনামা
ভাষান্তর : মনযূরুল হক
পৃষ্ঠা : ১৬০দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে হিটলারের নির্মম ইহুদিনিধনের পরিণামে ব্রিটিশ ম্যান্ডাটরি শাসনামলে সেসব নিরপরাধ মুসলমানদের নিজেদের বাস্তুভিটা হারাতে হয়, যারা বংশপরিক্রমায় ফিলিস্তিনের অধিবাসী ছিলেন। মূলত হিটলারের নিধনযজ্ঞের কারণেই উপনিবেশবাদী ইহুদিরা ফিলিস্তিনকে নিজেদের বাপ-দাদার ভিটা বলে দাবি করার সুযোগ পায়। অতঃপর সাম্রাজ্যবাদী ব্রিটিশ সরকার তাদের অধিকার স্বীকার করতেই সারা বিশ্ব থেকে ইহুদিদের জড়ো করে তারা ফিলিস্তিনের বুকে একটি অবৈধ ইহুদি উপনিবেশ গড়তে শুরু করে। ইহুদি নেতারা বিশ্ববাসীকে জানায়, ইহুদিজাতির নিরাপত্তা ও অধিকার আদায়ের স্বার্থে আপন পূর্বপুরুষদের জন্মভূমিতে অর্থের বিনিময়ে জমি ক্রয় করে তারা একটি ইহুদি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে চাচ্ছে। কিন্তু এই মুখরোচক বক্তব্যের আড়ালে তারা ফিলিস্তিনি জনসাধারণের জমিজমা এবং সর্বস্ব লুটে নিয়ে তাদের উদ্বাস্তুতে পরিণত করে। সেই নির্মম ইতিহাসেরই করুণ চিত্র ফুটে উঠেছে আলোচ্য উপন্যাসে।লেখিকা মরিয়ম জামিলা ১৯৩৪ সালে আমেরিকার নিউ ইয়র্কে একটি ইহুদি পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। কৈশোরকালেই ইহুদি ধর্মের প্রতি বিশ্বাস হারিয়ে তিনি পাকিস্তানে হিজরত করেন এবং ইসলামের সুশীতল ছায়ায় আশ্রয়গ্রহণ করেন। এর আগে তিনি ইহুদিদের মাধ্যমে ইসলামবিরোধী বিতর্কের জন্যে একটি কোর্সও করেছিলেন, যা পরবর্তীকালে তাকে ইসলামের সপক্ষে কাজ করার ক্ষেত্রে বেশ সহায়তা করে।এই গ্রন্থে তিনি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়কাল থেকে নিয়ে আরব-ইসরাইল যুদ্ধের প্রাক্কালে ফিলিস্তিনি মানুষেরা কোন্ অবস্থার মধ্য দিয়ে কাটিয়েছে তা আহমদ খলিল নামক একজন সাধারণ কৃষক কিংবা বলা যায় আরব বেদুইনের জীবনের মাধ্যমে ফুটিয়ে তুলতে চেয়েছেন। তাদের কষ্ট ও অভাবকে ছাড়িয়ে কী করে ইসলাম তাদের শিরোমণি হয়ে থেকেছে এবং তাদের স্বাধীনচেতা জীবন কতটা গৌরব ধারণ করে বজায় ছিল, তা বর্ণনা করতে গিয়ে তিনি আবেগময় ভাষার প্রয়োগ করেছেন। এই বইটির পাঠক যেমনি উপন্যাস পাঠের আনন্দ পাবে, তেমনি ইহুদি আগ্রাসনের প্রাথমিক ইতিহাস সম্পর্কেও জানতে পারবে।