মুদ্রা হচ্ছে বিনিময়ের মাধ্যম। পৃথিবীতে মানবজাতির আগমন থেকে শুরু করে আজ থেকে প্রায় ১০০ বছর আগ পর্যন্ত লেনদেনের মাধ্যম হিসেবে সোনা, রূপা, তামা, বিভিন্ন ধাতু এবং ব্যবহার্য দ্রব্য, খাদ্যদ্রব্য ব্যবহৃত হতো। তবে সোনা, রূপাই ছিলো বিনিময়ের প্রধান মাধ্যম বা মুদ্রা। এই ব্যবস্থাতে কখনো মুদ্রাস্ফীতি হতো না। হাজার বছরের মানব ইতিহাসে মুদ্রাস্ফীতি বা নামে কোন শব্দই ছিলো না। এই মুদ্রাস্ফীতির সম্পূর্ণ সুবিধা নিয়ে বিশ্বের অর্থনীতিকে নিয়ন্ত্রণ করছে গুটিকয়েক মানুষ। বিশ্বের অধিকাংশ সম্পদই তাদের হাতে। অন্যদিকে আপনি যতই পরিশ্রম করুন, তারা ডলার ছাপিয়ে আপনার সবশ্রমকে কিনে নিবে কোন পরিশ্রম ছাড়াই। মানব ইতিহাসের সবচেয়ে বড় ধোঁকাবাজি, প্রতারণা, ডাকাতি। ব্যাংকিং সিস্টেম হচ্ছে এই প্রতারণা ও ডাকাতির প্রধান মাধ্যম। কিভাবে এই প্রতারণামূলক সিস্টেম বা ব্যবস্থার আর্বিভাব হলো? কিভাবে মানব ইতিহাসের হাজার বছরের প্রচলিত আসল মুদ্রাকে সরিয়ে নকল, প্রতারণাময় কাগুজে মুদ্রা আসলো? কারা এই প্রতারণার পিছনে জড়িত? এর ইতিহাস কি? এ ব্যাপারে নবী মুহাম্মদ (সা.) থেকে কি কোন দিক-নির্দেশনা আছে? সামনে কি আসছে? ইত্যাদি প্রশ্নের সঠিক উত্তর আপনি এই বইটিতে পেতে যাচ্ছেন। বইটি যাতে সবার বুঝতে সুবিধা হয় সেজন্যে লেখক বইটিকে সংক্ষিপ্ত আকারে রচনা করেছেন এবং জটিল ইকোনোমিক পরিভাষাগুলো পরিহার করেছেন।