লেখক : রিদওয়ান রিয়াদি
প্রকাশনী : মিরাজ প্রকাশনী
বিষয় : সুন্নাত ও শিষ্টাচার
পৃষ্ঠা : 208, কভার : হার্ড কভার, সংস্করণ : 1st Published 2020
অনুবাদক: সালিম আবদুল্লাহ
সম্পাদক : মোহাম্মদ আমানুল্লাহ আবিদহাসি সৌন্দর্যের প্রতীক। অশান্ত মনকে শান্ত করার মোক্ষম হাতিয়ার। কখনও এক টুকরো হাসি ভুলিয়ে দেয় রাশি রাশি দুঃখ-বেদনার যন্ত্রণা। শত বিপদের মাঝেও একচিলতে হাসি সফলতার দ্বার উন্মুক্ত করতে সক্ষম। তাছাড়া হাস্যোজ্জ্বল মানুষকে সবাই ভালোবাসে; আপন ও কাছের ভাবে। হাসির মাধ্যমে আন্তরিকতা ও বন্ধুত্ব সৃষ্টি হয়। অপরদিকে কেউ যদি গোমড়ামুখো হয়, মুখ ভার করে থাকে, তা হলে পরস্পরের মাঝে দূরত্ব ও ব্যবধান তৈরি হয়। ধীরে ধীরে সম্পর্কগুলো কলহ-বিবাদে রূপ নেয়। তাই পরিচিত-অপরিচিত সবার সাথে হাসিমুখে সাক্ষাত করা উত্তম। হাসিমুখে কথা বলা ও বিনয়ী আচরণ ইসলামের অনুপম সৌন্দর্য। তদুপরি এটি পুণ্য অর্জনেরও মাধ্যম। হাদিস শরিফে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘যে ব্যক্তি নিজের কোনো মুসলিম ভাইকে খুশি করার জন্য এমনভাবে সাক্ষাত করে, যেমনটি সে নিজের জন্য পছন্দ করে, কেয়ামতের দিন বিনিময়ে আল্লাহ তায়ালা তাকে খুশি করবেন।’শুধু তা-ই নয়, নবীজি এটিকে সাদাকা হিসেবেও ঘোষণা করেছেন। নবীজি বলেন, ‘প্রতিটি ভালো কাজ সাদাকা। আর গুরুত্বপূর্ণ একটি ভালো কাজ হলো, অপর কোনো মুসলিম ভাইয়ের সাথে হাসিমুখে সাক্ষাত করা।’অপরদিকে নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দীর্ঘ এক হাদিসের শেষে বলেন, ‘তোমরা অধিক পরিমাণে হেসো না। কারণ, অধিক হাসি অন্তরকে মৃত বানিয়ে দেয়।’ইমাম নববি রাহিমাহুল্লাহ উভয় প্রকার হাদিসের মাঝে সামঞ্জস্য করে বলেন, ‘যে কৌতুক ও হাস্যরস অন্তরে কাঠিন্য সৃষ্টি করে অথবা আল্লাহর যিকির ও স্মরণ থেকে গাফেল রাখে কিংবা কোনো মুসলমানের কষ্টের কারণ হয় বা গাম্ভীর্য দূর করে দেয়, এরূপ হাস্যরস ও কৌতুক বৈধ নয়। অন্যথায় মনকে প্রফুল্ল করার উদ্দেশ্যে হাস্যরস ও কৌতুক করা শুধু জায়েযই নয়, বরং মুসতাহাব।’
সুতরাং আমাদের হাসি, রসিকতা আর খুনসুটি হতে হবে নববি পদ্ধতিতে। বইটির আদি-অন্ত সেই পদ্ধতিরই নির্যাস। যেখানে আলোচিত হয়েছে নবীজির জীবনে ঘটে যাওয়া প্রায় প্রতিটি হাসির মনকাড়া গল্প।