বিদআত (পরিচয় প্রকরণ ও পরিণাম) (১ম খণ্ড)
লেখক : ড. আহমদ আলী
প্রকাশনী : বাংলাদেশ ইসলামিক ল রিসার্চ এন্ড লিগ্যাল এইড সেন্টার
বিষয় : ইসলামী জ্ঞান চর্চা, শিরক, বিদয়াত ও কুসংস্কার
পৃষ্ঠা : 203, কভার : হার্ড কভার, সংস্করণ : 4th edition 2019
পৃষ্ঠা ধরণ: অফসেট হোয়াইট
সাহাবি আবু দারদা রাযি. বলেন, ‘আমরা আল্লাহর রাসূল ﷺ-এর যুগে দীনের যে অবস্থায় ছিলাম, তন্মধ্যে কেবল কিবলা ছাড়া আজ কিছুই আমি চিনতে পারছি না।’
ইবনুল-জাওযী রহ. তাঁর এই কথার ওপর মন্তব্য করেন,
‘কী আশ্চর্য কথা! আজ যদি তিনি আমাদের দেখতে পেতেন, তবে তিনি কীরূপ মন্তব্য করতেন! অথচ বর্তমানে আমাদের মধ্যে শরীয়তের চর্চা বলতে শুধু আনুষ্ঠানিকতা-টুকুই আছে।’ [সাইদুল খতির, পৃঃ ১০৭]সাহাবী আবু দারদা রাযি.-এর কথাটি বলার পর হাজার বছর পেরিয়ে গেছে। নববি যুগ থেকে যতই ব্যবধান বেড়েছে, ততই উম্মত দ্বীন থেকে দূরে সরতে শুরু করেছে। দ্বীনের নাম নব্য আবিষ্কৃত রীতিনীতির আবির্ভাব ঘটেছে। নিত্যনতুন পথ-পদ্ধতি, আমল-আনুষ্ঠানিকতা এসেছে। জানা নেই, আবু দারদা এবং ইবনুল-জাওযী উভয়ই যদি আজ আমাদের দেখতেন, তাহলে কী মন্তব্য করতেন। আমাদের সালাফগণ বিদআত কিংবা দ্বীনের নামে নব আবিষ্কৃত রীতি নীতিকে ততটাই ঘৃণা করতেন, যতটা করতেন শিরক কুফরকে। কারণ, অতীতের নবি-রাসূলের দ্বীন বিকৃত হবার পেছনে এই বিদআতই দায়ী। বিদআত থেকেই প্রকাশ পায় কুফর-শিরকের মতো ভয়াবহ আকীদা, যা ব্যক্তিকে চিরস্থায়ী জাহান্নামী করে।আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর স্যারের ‘এহইয়াউস সুনান’ বইয়ের পর সম্ভবত এই বইটি আমাদের দেখা বিদআত নিয়ে বিস্তর আলোচনা সমৃদ্ধ বই। বরং বলা যায় এহইয়াউস সুনানের চেয়েও এখানে বিদআতের প্রকৃত, প্রকরণ, পরিণাম চুলচেরা বিশ্লেষণ করা হয়েছে। ঈমান, আকীদাহ, তাওহীদ, ইবাদাহ, সকল স্তরে কীভাবে বিদআতের অনুপ্রবেশ ঘটেছে, এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানার এবং বিদআত থেকে বেঁচে থাকার জন্য চমৎকার একটি বই।