ইমাম ইজ্জুদ্দিন ইবনু আবদিস সালাম
লেখক : ড. আলী মুহাম্মদ আস-সাল্লাবী, ড. আলি সাল্লাবি (কালান্তর প্রকাশনী)
প্রকাশনী : কালান্তর প্রকাশনী
বিষয় : ইসলামী ব্যক্তিত্ব, কালান্তর প্রি-অর্ডার, মুসলিম ব্যক্তিত্ব
পৃষ্ঠা : 144, কভার : হার্ড কভার
ভাষান্তর : ইফতেখার জামিল
সম্পাদক : আবদুর রশীদ তারাপাশীউপমহাদেশের একজন বিখ্যাত চিন্তাবিদ দাবি করেন, খিলাফতে রাশিদার পরপর মুসলিম ইতিহাসে নেমে আসে জাহিলিয়াতের আঁধার। তাঁর মতে, এই জাহিলিয়াতে আলিমরাও জালিম শাসকগোষ্ঠীর সাহায্যকারী হিসেবে দাঁড়িয়ে যান। সন্দেহ নেই আলিমদের অনেকে তাদের দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়েছেন, উল্লেখযোগ্য ইলমি ও রাজনৈতিক ভূমিকা রাখতে পারেননি। তবে যারা মোকাবিলার চেষ্টা করেছেন, রাজনৈতিক ও ইলমি সংস্কারের ডাক দিয়েছেন, তাদের সংখ্যাও একেবারে কম নয়।
আবুল হাসান আলি নদবি রাহ. ইসলামি ইতিহাসের এই সোনালি অধ্যায় সংকলনের অংশ হিসেবে রচনা করেন এক বিখ্যাত গ্রন্থ : সংগ্রামী সাধকদের ইতিহাস। এতে তিনি তুলে ধরতে চেষ্টা করেন আলিমদের সংস্কারমূলক চেষ্টা, রাজনৈতিক ও ইলমি ভূমিকা। আলি নদবি দেখান, আলিমদের এই সংগ্রামী ও সংস্কারমূলক ভূমিকা ইসলামি ইতিহাসের মৌল প্রকৃতির অংশ। আলি নদবির ব্যাখ্যায় বিশ্বাস রাখলে বলতে হবে, হিজরি সপ্তম শতাব্দীতে এই আন্দোলনের অন্যতম কেন্দ্রীয় ব্যক্তি ছিলেন ইমাম ইজ্জুদ্দিন ইবনু আবদিস সালাম রাহ.।হিজরি সপ্তম শতক। উম্মতের এক ক্রান্তিকাল—রাজনৈতিক বিভক্তি, নানামুখী ষড়যন্ত্র; মোঙ্গল, ক্রুসেডার, বাতিনিপন্থি ধারাসহ নানামুখী বিপদ ঘিরে রেখেছিল মুসলমানদের। এমন ঐতিহাসিক মুহূর্তে মুসলমানদের নেতৃত্ব দেন ইমাম ইজ্জুদ্দিন ইবনু আবদিস সালাম। রাজনৈতিক ভূমিকার পাশাপাশি পেশ করেন সংস্কারের পরিপূর্ণ পয়গাম ও প্রস্তাব। বিশেষভাবে সংকলন করেন মাকাসিদে শরিয়াহ। ইতিহাসবিদ ড. শায়খ আলি মুহাম্মাদ সাল্লাবির দক্ষ হাতে উঠে এসেছে এই মহান ইমামের জীবন, চিন্তা ও অবদানের উল্লেখযোগ্য দিক।