লেখক : ড. শাওকি আবু খলিল
প্রকাশনী : মাকতাবাতু ইবরাহীম
বিষয় : ইসলামী ব্যক্তিত্ব
পৃষ্ঠা : 336, কভার : হার্ড কভার
অনুবাদক– কাজী মঈনুল হক
নিরীক্ষণ–ইমরান রাইহান
সম্পাদনা–মাহমুদ বিন নূর
ইসলামের ইতিহাসে অন্যতম আলোচিত এক চরিত্রের নাম আব্বাসি খলিফা বাদশা হারুনুর রশিদ। এ নামের সঙ্গে পরিচিত নয় এমন মানুষের সংখ্যা খুবই নগন্য। কারণ তার শাসনামল ছিল ইসলামি সভ্যতা-সংস্কৃতির চরম উৎকর্ষের যুগ। জ্ঞান-বিজ্ঞান, ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক সমৃদ্ধি তখন উন্নতি-অগ্রগতির শিখরে পৌঁছে ছিল বলে এ সময়টিকে ইসলামের স্বর্ণযুগ বলা হয়। সে সময়ে বাগদাদ হয়ে উঠেছিল জ্ঞান, সংস্কৃতি ও বাণিজ্যের সূতিকাগার। দূর-দূরান্ত থেকে লোকজন জ্ঞান আহরণ ও ব্যবসা-বাণিজ্যের উদ্দেশ্যে সেখানে ছুটে যেত।
হারুনুর রশিদ হলেন সর্বশ্রেষ্ঠ আব্বাসি খলিফা। সাম্রাজ্যের পরিধি বৃদ্ধি, ফেতনা ও বিদ্রোহ দমনে তার বীরত্ব ও সাহসিকতার গুণগান আজও মানুষের মুখে মুখে শোভা পায়। একদিকে নিরীহ ও সাধারণ প্রজাদের কাছে তিনি ছিলেন একজন স্নেহপরায়ণ শাসক, অপরদিকে অন্যায় ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারীদের কাছে ছিলেন এক মূর্তিমান আতঙ্ক।
এতসব কিছুর পরেও তার সবচেয়ে বড় পরিচয় হলো, তিনি ছিলেন একজন প্রকৃত প্রজাহিতৈষী শাসক। যিনি রাতের আঁধারে ছদ্মবেশে ঘুরে ঘুরে প্রজাদের সুবিধা-অসুবিধা যাচাই করতেন এবং তাদের যাবতীয় প্রয়োজনাদি পূরণ করতেন। এর পাশাপাশি তিনি ছিলেন আল্লাহর আদেশ-নিষেধ ও সুন্নতে নববির অনুসরণে সদা তৎপর। যিনি সারাজীবন জ্ঞান ও জ্ঞাণী লোকদের সম্মান করেছেন এবং আর্তমানবতার সেবায় নিজেকে বিলিয়ে দিয়েছেন।
এতসব মহৎ গুণাবলি থাকা সত্ত্বেও একটি কুচক্রী মহল এ মহান মুসলিম খলিফার নামে তার তিরোধানের পর থেকেই নানা বিষোদগার করে আসছে। তাদের বক্তব্যমতে হারুনুর রশিদ ছিলেন একজন ব্যর্থ ও অত্যাচারী শাসক। বস্তুত এসকল চালবাজ লোকেরা নিজেদের হীন মনোবাসনা পূরণের উদ্দেশ্যে খলিফা হারুনুর রশিদের নামে বিভিন্ন অপবাদ ও কুৎসা রটিয়ে বেড়ায়। এসব ষড়যন্ত্র ও চক্রান্তের শিকার হয়ে সাধারণ মুসলিম সমাজ আজ এ মহান খলিফার প্রকৃত ইতিহাস ও জীবনচরিত থেকে দূরে সরে পড়েছে।
বক্ষ্যমাণ গ্রন্থটি এ মহান খলিফার জীবনচরিত নিয়েই রচিত। এর রচয়িতা হলেন আরব বিশ্বের প্রখ্যাত গবেষক ও ইতিহাসবিদ ড. শাওকি আবু খলিল। তিনি বইটিতে নির্ভরযোগ্য সব সূত্র ও গবেষণার আলোকে খলিফা হারুনুর রশিদের জীবনের আদ্যোপান্ত অত্যন্ত সুনিপুণ ও আকর্ষণীয় উপস্থাপনায় তুলে ধরেছেন।