মুসলিম প্রধান দেশ হিসেবে খ্যাত বাংলাদেশের অধিকাংশ মুসলিমই হানাফী মাযহাবের অনুসারী। ইমাম আবু হানিফা সম্পর্কে বলা হয়ে থাকে, ফিকহ শাস্ত্রে তিনি এতটা অবদান রেখেছেন যে, ফিকহ শাস্ত্রে কেবল তার ছাত্র হওয়াই সম্ভব, তার সমকক্ষ হওয়া সম্ভব নয়। অথচ বর্তমানে হানাফী মাযাহাবের মূলনীতি থেকে দূরে সরে গিয়ে আমরা প্রান্তিকতার দিকে অগ্রসর হচ্ছি।
আমাদের আলেমসমাজে অধিকাংশ আলেমগণই নিজেদের হানাফী পরিচয় দিতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন, কিন্তু তারাও যে হানাফী মূলনীতি থেকে বহু দূরে অবস্থান করছেন, এ সম্পর্কেও তারা অজ্ঞাত। কারণ ইমাম সাহেবকে নিয়ে মৌলিক চর্চা নেই বললেই চলে। আমাদের দেশে ইমাম আবু হানিফাকে সংকীর্ণভাবে শুধুমাত্র ধর্মতাত্ত্বিক অবস্থান থেকে ব্যখ্যা করা হয়, অথচ হানাফী মাযহাবের শ্রেষ্ঠত্বই হচ্ছে এর সামগ্রিকতায়। ইমাম সাহেবের ব্যপৃত চিন্তাধারা ও দর্শন ধর্মতাত্ত্বিক দৃষ্টিভঙ্গির আড়ালেই রয়ে যায়।
এ সকল কিছুর প্রেক্ষিতেই আজ মহান ইমাম আবু হানিফাকে নিয়ে চর্চা করাটা জরুরী হয়ে পড়েছে। মহান আলেম আল্লামা শিবলী নোমানী কর্তৃক লিখিত “সীরাতে নোমান” অত্যন্ত চমৎকার এবং ক্ল্যাসিক একটি গ্রন্থ। গ্রন্থটি মূলত তিনটি ভাগে বিভক্ত : ১. ইমাম আবু হানিফার জীবনঘনিষ্ঠ আলোচনা, ২. ইমাম আবু হানিফার চিন্তাধারা ও দর্শন, ৩. ইমাম আবু হানিফার বিখ্যাত ছাত্রগণ।