মানুষ যখন সভ্যতার ক্রমবিকাশের ফলে বর্ণমালা আবিষ্কার করলো তখন বর্ণমালার সাহায্যে সংখ্যা লেখার পদ্ধতিও আবিষ্কার করলো। এ ব্যাপারে হিব্রু, আরবি, গ্রিক এবং রোমানদের সংখ্যা লিখন পদ্ধতি এখনও কোনো কোনো ক্ষেত্রে খুঁজে পাওয়া যায়। এইভাবে বর্ণমালার অক্ষরকে সংখ্যার মান নির্দেশক হিসেবে ব্যবহার করার পদ্ধতিকে ইংরেজিতে Gematria বা Arithmology বলা হয়।
বিজ্ঞানের প্রায় প্রতিটি শাখায় রয়েছে গণিতের পদচারণা। গণিত শিক্ষা সর্বসাধারণের জন্য সমান গুরুত্ব বহন করে। গণিত শিক্ষাকে ছাত্রদের কাছে আকর্ষণীয় ও অর্থবহ করতে গণিতের সূক্ষ্ম তত্ত্ব আলোচনার পাশাপাশি গণিতের ইতিহাসের বিশেষ বিশেষ ঘটনাগুলো তুলে ধরতে পারলে খুবই ভালো ফলাফল পাওয়া যেতে পারে।
গণিত শিক্ষার সময় স্বাভাবিক ভাবেই ছাত্ররা গণিতের বিভিন্ন সূত্র এবং প্রণালীর সাথে জড়িত গণিতবিদদের নামগুলো দেখে থাকে। এতে হয়তো অনেকেই আগ্রহী হয় এই গণিতবিদদের সম্পর্কে জানতে, গণিতের সূত্রগুলোর ইতিহাস জানতে। কিন্তু বাংলাদেশে গণিতের ইতিহাস নিয়ে বাংলায় তেমন কোনো বই নেই। এই বইটিতে গণিতের ক্রমবিকাশ সম্বন্ধে একটা মোটামুটি ধারণা দেওয়া হয়েছে। গণিতের ইতিহাস এতো বিস্তৃত যে এই স্বল্প পরিসরের বইয়ে তা প্রকাশ করা সম্ভব নয়। তবুও গণিতের ইতিহাসের সংক্ষিপ্ত ধারণা নিতে বইটি সংগ্রহ রাখতে পারেন।