ফেরেশতারা যাদের জন্য দোয়া করেন
দুআ একটি বিশেষ ধরণের ইবাদাত। কুরআন-হাদীসে দুআ বা আল্লাহ্র কাছে প্রার্থনা করার নানাবিধ ফযীলত বর্ননা করা হয়েছে। দুআকেই একমাত্র আমল হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে যার উসিলায় আল্লাহ্ তায়ালা তাকদীরের লিখন পর্যন্ত পাল্টে দিয়ে থাকেন (দুআ কবুলের ক্ষেত্রে)। এছাড়াও বিপদে পড়ে হোক বা না পড়েই হোক, সুখে হোক বা দুখেই হোক উভয় অবস্থায়ই দুআ বান্দার জন্য কল্যাণকর। দুআ যিনি করবেন তিনি যত পরহেযগার বা আল্লাহ্ওয়ালা হবেন, তা কবুলের সম্ভাবনা ততই বেশী। আর সে দুআ যদি ফেরেশতাদের দ্বারা হয়, এতো পরম সৌভাগ্যের ব্যাপার। অত্র গ্রন্থটি মূলত সেই সকল হাদীসসমূহের সংকলন যাতে ফেরেশতাগণ কখন কাদের জন্য দুআ করেন সে বিষয়টি এবং সাথে সাথে ফেরেশতারা কখন অভিশাপ বা বদ দুআ দেয় সেসব প্রসঙ্গ উঠে এসেছে। এ ধরণের হাদীসগুলো একত্রে পাওয়াও আমাদের জন্য খুবই উপকারী। আমরা অতি সহজেই হাদীসগুলো জানতে পারছি এবং এর আমল করলে আমাদের দুজাহানেই কল্যাণ হবে, ইনশাআল্লাহ্। এছাড়াও অত্র বইটিতে হাদীসগুলোর পর্যাপ্ত ব্যাখ্যাও প্রদান করা হয়েছে, যা আমাদের স্পষ্ট জ্ঞান লাভে সহায়ক।
এ বইটি থেকে আমরা জানতে পারি যে, অজু করে ঘুমাতে যাওয়া, নামাযের অপক্ষায় থাকা, প্রথম বা দ্বিতীয় কাতারে সালাত আদায় করা, কাতারের ডান পার্শ্বে দাঁড়ানো, কাতারে পরস্পর মিলিতভাবে দাঁড়ানো, নামাযান্তে নামাযের স্থানে বসে থাকা, জামাতের সাথে ফজর ও আসর এর নামায আদায় করা, কুরআন খতম করা, নবী (সা.) এর ওপর দরূদ পাঠ করা, অনুপস্থিত মুসলিম ভাইয়ের জন্য দুআ করা, আল্লাহ্র পথে ব্যয় করা- প্রভৃতির উপর আমলকারীর জন্য ফেরেশতারা আল্লাহ্র নিকট দুআ করে থাকে। সুতরাং আমাদের সকলেরই উচিত অত্র গ্রন্থখানি সংগ্রহ করা, পড়া এবং এর উপর আমলা করা।