‘জীবনে ফেরার গল্প’ আমাদের এমন একটি সময়কালে নিয়ে যায় যখন সুন্দরবন কেবল সুন্দর ছিলো না। বরং বলা যায় ভয়ঙ্কর সুন্দর ছিল। শত শত বছর ধরে সেখানকার প্রান্তিক মানুষের কাছে যেন ছিল আতঙ্কের আরেক নাম। একদিকে মহাজন আর বড় বড় মাছ ব্যবসায়ীদের দৌরাত্ম্য, অন্যদিকে গহীন বনে দস্যুদের রাজত্ব। এ যেন পানিতে কুমির-ডাঙায় বাঘ অবস্থা।
ঠিক এমন পরিস্থিতিতে কিভাবে এক যুগে মোহসীন-উল হাকিম তার সাংবাদিকতা এবং ব্যক্তিগত প্রচেষ্টায় গোটা অঞ্চলের জীবনযাত্রার গতিপথ বদলে দিয়েছে সে সংগ্রামের চিত্র উঠে এসেছে। যার মধ্যে উঠে এসেছে দস্যুদের জীবন, অভ্যন্তরীন অকল্পনীয় সব বাস্তবতার চিত্র। উঠে এসেছে সুন্দরবনের জনজীবনকে কাছ থেকে দেখার সামগ্রিকতা।
৩২ টি জলদস্যু বাহিনী এবং প্রায় ৫০০ জন জলদস্যুর রাজত্ব ছিলো সুন্দরবনের গহীন অঞ্চলে। এদের প্রত্যেকেই আত্মসমর্পন করেছে। সুন্দরবনকে দস্যুমুক্ত ঘোষণা করা হয় ২০১৮ সালে। এই দস্যুমুক্ত বা আত্মসমর্পন করতে সমঝোতাকারী হিসেবে কাজ করেছেন মোহসীন-উল হাকিম। সেই কার্যক্রমের রোমহর্ষক অভিজ্ঞতাগুলোই তুলে ধরেছেন তার বইতে।