সমাজের সঙ্গে জনসমাজের নাড়ীর সম্পর্ক রয়েছে। এ সম্পর্ককে এড়িয়ে চললে কিংবা অস্বীকার করলে প্রথমোক্তের মৃত্যু অপরিহার্য। এ জন্যে সমাজ সংস্কার ব্যক্তি-সংষ্কারের ওপর যতখানি নির্ভরশীল, বাইরের কোন বিষয়ের ওপর ততখানি নয়। অন্য দিকে রাষ্ট্র হলো সমাজের মুখপাত্র এবং তার স্বার্থের প্রতিভূ। এ কথা থেকে স্বতঃসিদ্ধ হয় যে, রাষ্ট্রের প্রকৃতিতে প্রতিবিম্বিত হয় সমাজের স্বভাব। জনসমাজকে ঘিরেই প্রতিষ্ঠিত হয় একটি সমাজ। তেমনি সমাজকে অবলম্বন করেই জন্ম নেয় একটি দেশ, একটি রাষ্ট্র।
একটি দেশের উন্নতি-অনুন্নতি নির্ভর করে সে দেশের জনগণের ওপর; যে জাতি যত সভ্য , সে দেশ তত উন্নত। আমাদের দেশ কতটা উন্নত, জাতি হিসেবে আমরা কতটা সভ্য—সে বিবেচনা পাঠকই করবে। তবে এটুকু নিশ্চিত যে, বর্তমানে আমাদের ব্যক্তি-জীবন, সমাজ-জীবন ও রাষ্ট্রীয় জীবনের পরতে-পরতে ছড়িয়ে আছে হরেক রকমের অসংগতি। এ অসংগতি লুকিয়ে আছে আমাদের চিন্তায়, আমাদের ভাবনায়; আমাদের মন-মননে ও মানসিক অঙ্গনে; আমাদের চলনে-বলনে, আচরণে-উচ্চারণে এবং যাপিত জীবনের নানাবিধ প্রাঙ্গণে। ইসলামের বয়ানে কীভাবে এসব অসংগতি কাটিয়ে একজন সুন্দর ও পরিপূর্ণ মানুষ হিসেবে নিজেকে গড়ে তোলা যায়, তারই অনবদ্য গ্রন্থনা— জীবনদর্শন ও ইসলাম।