ঈমান একজন মুসলমানের সবচেয়ে বড় সম্পদ । অন্তরে বিশ্বাস,মুখের স্বীকারোক্তি ও বাহ্যিক অঙ্গ প্রত্যঙ্গের মাধ্যমে আ’মালের বাস্তবায়ন ,এই তিন বিষয়ের সমন্বয়কে ঈমান বলা হয় । কুরআনে কারীমের ভাষ্যমতে ঈমানের কিছু মৌলিক এবং কিছু শাখাগত বৈশিষ্ট্য আছে। হাদীসে তার ব্যাখ্যা করা হয়েছে এই ভাবে যে ,ঈমানের সত্তুরের অধিক শাখা আছে।
হযরত আবু হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন: “ঈমানের সত্তরের উপর শাখা আছে, তার মধ্যে সর্বোত্তম শাখা হলো- লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ বলা। এবং সর্বনিম্ন শাখা হলো-রাস্তা হতে কষ্টদায়ক জিনিস সরিয়ে দেওয়া। আর লজ্জাশীলতা ও ঈমানের একটি অন্যতম শাখা”। মুহাদ্দিস ও মুহাক্কিকগন কোরআন-হাদীসের সেই সূত্র ধরে উম্মতের সামনে ঈমানের সাতাত্তুরটি শাখা পেশ করেছেন। তন্মধ্যে অন্তরের সাথে সম্পৃত্ত ৩০ টি, যবানের সাথে সম্পৃত্ত্ত ৭ টি , এবং অন্যান্য অঙ্গ প্রত্যঙ্গর সাথে সম্পৃত্ত ৪০ টি।
আলোচ্য গ্রন্থে হযরত থানভী রহ : ঈমানের সাতাত্তুরটি শাখাকে দুটি অধ্যায়ে খুবই সহজ ও সাবলীল ভাবে উপস্থাপন করেছেন । প্রথম অধ্যায়ে অন্তরের সাথে সম্পৃত্ত ঈমানের ৩০টি শাখার কথা আলোচনা করেছেন । আর দ্বিতীয় অধ্যায়ে যবানের সাথে সম্পৃত্ত ৭ টি, এবং অন্যান্য অঙ্গ প্রত্যঙ্গর সাথে সম্পৃত্ত ঈমানের ৪০টি শাখার ব্যাপারে আলোচনা করেছেন ।