বইটি পড়লে অবিবাহিতদের মনে হবে এখনি বিয়ে করে ফেলি। আর বিবাহিতরা নতুন করে একে অপরের প্রেমে পড়ে যাবেন। জীবন জাগার নিরেট প্রেমের গল্প। যে প্রেম শুধু কাছেই টানে না, জান্নাতেরও পথ দেখায়।
এই বইটিতে মোট ১৭টি গল্প দিয়ে সাজানো।
এই বইয়ের গল্পে রয়েছে, মানুষের ঘরে ফেরার পেছনে আছে ভালোবাসার টান; রয়েছে মায়া-মমতা।। সারাদিনের না বলা অব্যক্ত কথা।
গল্পে রয়েছে নারীর জীবনে পুরুষের কতটা প্রয়োজন তা বুঝাতেই এক বিধবা নারীর অভিব্যক্তি দেয়া হয়েছে। গল্পের মাধ্যমে বলা হয়েছে কোন ধরনের মেয়েদের বিয়ে করা যাবে ও কোন ধরনের মেয়েদের বিয়ে করা যাবে না, এ নিয়ে সংক্ষিপ্ত আলোচনা করা হয়েছে।
আমার বিয়ে ও বিবি”গল্পটিতে শায়েখ তানতাবী( রহঃ) এর নিজ জীবনাভিজ্ঞতার কিছু কথা তুলে ধরে তাতে চৌদ্দটি উপদেশ দিয়েছেন বৈবাহিক জীবন সুখময় হওয়ার নিমিত্তে। সম্পূর্ন অপরিচিত ভিন-জাতির কাউকে পারতপক্ষে বিবাহ করতে নিষেধ করেছেন।
কুফু রাখতে আদেশ দিয়েছেন। শুধু সৌন্দর্যের দিকে খেয়াল রাখতে নিষেধ করেছেন।
বাইবেলের একটি বাণী উল্লেখ করেছেন “সিজারের কাজ সিজারকে করতে দাও। অর্থাৎ,যার যা কাজ তাতে অন্যকে নাক গলাতে নিষেধ করেছেন। স্ত্রীর কাছে কোন কিছু গোপন করতে নিষেধ করেছেন।এমনি ভাবে কিছু গুরুত্বপূর্ণ উপদেশ দিয়েছেন আমাদের মতো জাহেলদের জন্য।
হুন্না লিবাসুন লাকুম (তারা(স্ত্রীরা) তোমাদের জন্য পোশাক (আবরণস্বরূপ)।আনতুম লিবাসুন লাহুন্না (তোমরা (স্বামীরা) তাদের জন্য পোশাক (আবরণস্বরূপ)। এই “পোশাক” দ্বারা কি বুঝিয়েছেন বইয়ের গল্পতে তা তুলে ধরেছেন ত্রিশটি পয়েন্ট দিয়ে। বইয়ের গল্পতে পরিবারের লোকদের বাচ্চাদের সাথে কিভাবে আচরণ করতে হবে, এবং তারা কিভাবে বড়দের সাথে আচরণ করবে এব্যাপারে খুব সুক্ষ্মভাবে বত্রিশটি পয়েন্ট তুলে ধরা হয়েছে।
এভাবে গৃহ-সংবিধান, বাড়ির কাজ, আমার বিয়ে ও বিবি, হারানো প্রেম, বাসর, দাদু নাতনিকে, একটি মা ও একটি জাতি, সাকানা-মাওয়াদ্দাহ-রহমাহ, ওয়াসজুদ ওয়াকতারিব, বধূয়া নামে আরো কিছু ছোট ছোট গল্প উপস্থাপন করা হয়েছে।
বইটি খুব চমৎকার গল্প দিয়ে সাজানো। এই ঘটনাগুলিতে দাম্পত্য জীবনের অনেক পাথেয় রয়েছে।