শায়খ মুহাম্মদ ইবনে আবদুল ওয়াহহাব। মৃত ১২০৬ হিজরি।
ভারতীয় উপমহাদেশে যাকে নিয়ে তর্ক-বিতর্কের শেষ নেই। কেউ বলে, তিনি ছিলেন নবী ও অলী-বিদ্বেষী। এমনকি তার দিকে সম্বন্ধিত করে ‘ওয়াহাবি’ শব্দটি অনেকেই গালি হিসেবে ব্যবহার করে থাকে।
আসলে কি তিনি তাই ছিলেন, না তিনি বিদআত দমনকারী ছিলেন?
তিনি ও তার আন্দোলন কি একটি বিশেষ মহলের প্রোপাগান্ডার শিকার হয়েছে, না তিনি বাস্তবেই কট্টোর ও উগ্রপন্থী ছিলেন?
তার সম্পর্কে ভারতীয় উপমহাদেশের আলেমদের অভিমত কী?
এগুলো কিছু ঐতিহাসিক প্রশ্ন। কিছু অনিষ্পত্ত সংকট।
দুঃখজনক বিষয় হল, এ প্রশ্নগুলোর উত্তর আমাদের হাতে নেই। আমরা বাংলাভাষীগণ অপ্রতুল তথ্যের কারণে এ বিষয়ে প্রায়সময় জড়তার শিকার হই।
সেই সংকট থেকে খানিকটা উত্তরণ পেতেই ভারতের প্রখ্যাত লেখক, জনপ্রিয় মাসিক পত্রিকা ‘আল ফুরকান লাখনৌ’ এর সম্পাদক, দারুল উলুম দেওবন্দের কার্যনির্বাহী পরিষদের সাবেক সদস্য মাওলানা মনযুর নুমানি রহ.এর আলোচিত বই ‘মুহাম্মদ ইবনে আবদুল ওয়াহহাব আওর হিন্দুস্তানকে উলামায়ে হক’ বইটি আমরা অনুবাদের উদ্যোগ গ্রহণ করি।
বইটির মাঝে শায়খ মুহাম্মদ ইবনে আবদুল ওয়াহহাব সম্পর্কে হযরত রশিদ আহমদ গাঙ্গুহি রহ. মাওলানা খলিল আহমদ সাহারানপুরি রহ. মাওলানা হুসাইন আহমদ মাদানি রহ. ও মাওলানা আনওয়ার শাহ কাশ্মিরি রহ. এর অবস্থান ব্যাখ্যা করা হয়েছে।
শাইখুল হাদিস যাকারিয়া রহ. ও কারী তাইয়্যেব রহ. বইটির বিষয়বস্তু সমর্থন ও সত্যয়ন করে ভূমিকা লিখেছেন।
আব্দুল্লাহ আল ফারুক
অনুবাদক