লেখকের মন-মানস যেহেতু স্বভাবগতভাবে ইতিহাসকেন্দ্রিক, আর এ বিষয়ে পদচারণাও নতুনভাবে হচ্ছে, তাই লেখার বেলায় সফরের যাত্রা শুরু হয়েছে কাদিয়ানী আন্দোলনের সূচনা থেকে। এর পর এই আন্দোলনের উন্থান ও ক্রয় অগ্রগতির এক এক মনযিলের বিবেচনা ও পুনর্বিবেচনার পর পথ অতিক্রম করতে হয়েছে। এ ব্যাপারে লেখকের জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা, আন্দোলনের ক্রম বিবর্তনের সাথে সাথে অগ্রসর হয়েছে। গবেষণার এই ধারা আন্দোলনটির চরিত্র, স্বভাব এবং এর ক্রমবিকাশ ও অভ্যন্তরীণ বিষয়গুলো বুঝতে সাহায্য করেছে। ফলে রহস্যের এমন দরোজা উদঘাটিত হয়েছে যে, এ সম্প্রদায়ের বাইরের রুপ দেখে তা স্পষ্ট হতো না। মির্যা গোলাম আহমদ সাহেবের রচনাবলী লেখক সরাসরি অধ্যয়ন করেছেন। এই অধ্যয়ন দ্বারা তার দাবী ও আন্দোলনকে বুঝতে এবং একজন নিরপেক্ষ ঐতিহাসিক ও সত্যসন্ধানীর ন্যায় পক্ষপাতহীন মত গ্রহণ করতে লেখক সার্বিক চেষ্টা করেছে। এই গবেষণা ও অনুসন্ধানের সারাৎসার হল সেই আরবী পুস্তকটি যা “মির্যা গোলাম আহমদ কাদিয়ানী ও তার কাদিয়ানী আন্দোলন” নামে মুদ্রিত হয়েছে।আর বাংলায় যা অনূদিত হয়েছে “কাদিয়ানী সম্প্রদায়ঃ তত্ত্ব ও ইতিহাস” শিরোনামে।