লেখক : আনোয়ার শাহ কাশ্মিরি রহ:
প্রকাশনী : দারুল আরকাম
বিষয় : ঈমান আক্বিদা ও বিশ্বাস
পৃষ্ঠা : ৩৮৪
তাকফির—অর্থাৎ কাউকে কাফির বলে আখ্যায়িত করা—নিয়ে আমাদের সমাজে এখন চরম প্রান্তিকতা বিদ্যমান। কিছু মানুষ খারেজি মতাদর্শে দীক্ষিত হয়ে তাকফিরের মেশিনগান নিয়ে বসে পড়ে। পাইকারিভাবে মুসলিমদের তাকফির করতে থাকে। তাদের বুলেটের আঘাতে হাজারো-লাখো নির্ভেজাল মুমিনও চলে যায় কাফিরদের সারিতে। অপরদিকে অধিকাংশ মানুষ আবার তাকফিরকে অ¯পৃশ্য মনে করে। এ ক্ষেত্রে তারা মুরজিয়াদের মতবাদ লালন করে। তাদের দৃষ্টিতে কোনো ব্যক্তি নিজেকে মুসলিম বলে পরিচয় দিলে সে আর কখনো কাফির হয় না। কোনো কাজকেই—তা যতই জঘন্য হোক না কেন—তারা ইমান ভঙ্গের কারণ বলে মনে করে না। এককথায়, তাকফির নিয়ে কেউ বাড়াবাড়িতে, আর কেউ ছাড়াছাড়িতে।
এ দুই প্রান্তিক আচরণের মধ্যবর্তী পন্থা হলো আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামাআতের তাকফিরনীতি। তারা মুসলিমকে মুসলিম এবং কাফিরকে কাফির বলতেই স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে। কারণ, কোনো মুসলিমকে কাফির বলা যেমন অন্যায়, একইভাবে কোনো কাফিরকে মুসলিম বলা তারচে’ও বড় অন্যায়। এ ক্ষেত্রে তারা মুখের কথার নয়; বরং ব্যক্তির বিশ্বাস ও কর্মের বিবেচনা করে। এরপর স্বীকৃত নীতির আলোকে যথাযথ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে।
আল্লামা আনওয়ার শাহ কাশ্মীরি রহ. ইকফারুল মুলহিদিন গ্রন্থটিকে লিখেছিলেন কাদিয়ানিদের ফিতনা প্রতিরোধের লক্ষ্যে। কিন্তু হজরতের এই অনন্য সাধারণ গবেষণাকর্মটি শুধু কাদিয়ানি ফিতনা প্রতিরোধেই নয়; বরং সকল ইলহাদ তথা দীনি বিষয়ে অপব্যাখ্যার ফিতনা প্রতিরোধে কিয়ামত পর্যন্ত সময়ের জন্য সত্যান্বেষী মানুষের জন্য আলোর দিশা জোগাবে।
গ্রন্থটি শুধু আলিমদের জন্যই নয়; বরং আলিম, তালিবুল ইলম এবং সাধারণ শিক্ষিত শ্রেণি সকলের জন্যই উপকারী হবে।