সফলতা পেতে কে না চায়? সফলতা সবার কাছেই কাঙ্খিত একটি শব্দ। কিন্তু সফলতা মানে কী এতে মানুষ প্রায়ই ভুল করে থাকে। কেউ ধন-সম্পদকে সফলতার মানদণ্ড মনে করে। কেউ সম্মান-র্মযাদাকে সফলতার মাপকাঠি মনে করে। কেউ পদ-পদবীকে সফলতার চাবিকাঠি মনে করে। আবার কেউ সার্টিফিকেট ও উঁচু উঁচু ডিগ্রীকে সফলতার মূলমন্ত্র মনে করে। এ বিষয়ে প্রত্যেকে স্বীয় ধ্যাণ-ধারণার অবাধ ব্যবহার করে থাকে। এতেই সে আনন্দ পায়। আল্লাহ তায়ালা মানুষের চিরচারিত স্বভাবের র্বণনা দিয়ে বলেন, كل حزب بما لديهم فرحون
“প্রত্যেকটি দল নিজ নিজ মতবাদ নিয়েই উৎফুল্ল।”
বাস্তবে মানুষের সুখ-শান্তি-সফলতা কীসে রয়েছে, কোন্ পথে চললে দুনিয়া ও পরকালে সে সফল হবে; সুখী হবে সে সম্পর্কে অনেকেরই সঠিক ধারণা নেই। অনেকেই সফলতা বলতে দুনিয়ার কিছু সাময়িক উপভোগ্য বস্তুকে বুঝিয়ে থাকে ।
মূলত এগুলো সফলতার বিষয় নয়; এসব মরিচীকা বৈ কিছুই নয়।
যে মরিচীকার পেছনে দৌড়ে মানুষ নিজের মূল্যবান জীবন-যৌবনকে ধ্বংস করছে অবলীলায়!
মনে রাখতে হবে, মানুষের দুনিয়ার জীবনই শেষ নয়; মানুষের রয়েছে এক অন্তহীন পরকালীন জীবন; যে জীবনের শুরু আছে, শেষ নেই। তাই যে ব্যক্তি ক্ষণিকের দুনিয়ার সফলতার পেছনে দৌঁড়ায়, সে আসলে বোকা! আর যে অন্তহীন পরকালের সফলতার পথে ছুটে চলে, সে দুনিয়ার সফলতাও পেয়ে যায়।
তাহলে সে পথ কোনটি, যে পথ মানুষকে উভয় জগতে সুখী ও সফল করে ? যে পথে চললে মানুষ দুনিয়াতে পাবে সুখ আর পরকালে পাবে শান্তি?
তবে শুনুন….
সে পথ ঈমানের পথ; সে পথ তাকদীর ও পরকালের বিশ্বাসের পথ; সে পথ ইবাদত-বন্দেগীর পথ; সে পথ শোকর ও সবরের পথ; সে পথ তাওবা ও এস্তেগফারের পথ।
যে পথে নেই পাপ-পঙ্কিলতা; নেই হতাশা-নিরাশা ও অলসতা; নেই দুশ্চন্তিা ও বিষণ্নতা ; নেই হিংসা-বিদ্বেষ ও শত্রুতা।
সফলতা লাভে এসব বিষয় এ বইয়ে অত্যন্ত সুন্দর ও সাবলীলভাবে আলোচিত হয়েছে। প্রতিটি বিষয়ে একটি জ্ঞানগর্ভ প্রবন্ধ রয়েছে, যা পড়ে আপনার সে বিষয়ে সঠিক ও মৌলিক ধারণা লাভ হবে।
প্রতিটি বিষয়ে রয়েছে কিছু উপদেশ-বাণী ও নীতিকথা, যেগুলো সফলতার পথ দেখায়। প্রতিটি বাণী হৃদয়ে জাগরণ সৃষ্টি করে। প্রতিটি বাণী র্স্বণাক্ষরে লিখে রাখার মতো; প্রতিটি বাণী স্মৃতির পাতায় অঙ্কিত করে রাখার মতো।