সুখ আমরা কে না চাই? সবাই চাই।
তবে কেন পাচ্ছি না সুখের নাগাল?
“এসো সুখের ছায়ায়” বইটি সম্পর্কে ড.আয়েয আল করনী তাঁর ভূমিকায় লিখেছেন,বক্ষমাণ (এসো সুখের ছায়ায়) গ্রন্থটি আমার জীবনের ৫০ বছরের অধ্যয়ন, সফর, উলামায়ে কেরাম, কবি-সাহিত্যিক, পণ্ডিত ও জ্ঞানী-গুণীদের সাথে সাক্ষাতের অভিজ্ঞতার আলোকে লিখিত। বলা যায়, গ্রন্থটি যাপিত জীবনের জীবন্ত সারাংশ। আশা করা যায়, এগুলো সম্পর্কে অবগতি লাভ করলে যে কোনো বয়সের লোকই সৌভাগ্য অর্জনে সক্ষম হবে।
আমার কালজয়ী গ্রন্থ ”লা-তাহযান” এর ২০ বছর পরে আমি এই গ্রন্থটি রচনা করেছি; তবে এতে আমি ঐ গ্রন্থের কোনো বিষয় পুনরাবৃত্তি করিনি। এক্ষেত্রে আমি সরাসরি জীবনমুখী হয়েছি। অর্থাৎ বাস্তবতার ময়দানে আমি যেসব ঘটনার মুখোমুখী হয়েছি অথবা নির্ভরযোগ্য সূত্রে শুনেছি তার সংক্ষিপ্ত পাঠ ও শিক্ষা এখানে তুলে ধরছি। পাঠক! যাতে আমি তোমাকে নিয়ে সৌভাগ্যময় ও সুখের জীবন, ধীর-স্থিরতা, শান্তি-নিরাপত্তা, সন্তুষ্টি ও অল্পেতুষ্টির সুমহান লক্ষ্যে পৌঁছে যেতে পারি।
হয়তো এভাবে তুমি আপন জীবন অতিবাহিত করতে পারবে সহজ-সরল, সাবলীল, উদার দৃষ্টিভঙ্গী, প্রশান্তি ও সমৃদ্ধির সুখময় ভুবনে। এটাই তো মহান্বিত ধর্ম ইসলামের অন্যতম লক্ষ্য। বিশ্বব্যাপী জ্ঞানী-গুণীদের সাধনার ধন। আর সবাই এ সৌভাগ্যই কামনা করে।
এজন্যই আমি দিক-দিগন্ত হতে আহরিত ঘটনাসমূহ গ্রহণ করেছি। তবে এর সংখ্যা বৃদ্ধি করার প্রতি মনোনিবেশ করিনি। কারণ, আমার গ্রন্থে আমি এমন কোনো তথ্য ও ঘটনা উল্লেখ করতে চাইনি, যা অন্য গ্রন্থে উল্লেখ করা হয়েছে।
আল্লাহ তাআলার চিরস্থায়ী বরকতের উপরই আমার একমাত্র ভরসা। তাঁর অনুগ্রহ-ই আমার একমাত্র চাওয়া। আশা করি আমাকে এবং (প্রিয় পাঠক) তোমাকে এমন সৌভাগ্য ও সুখের উপহার দেবেন, যার পরে আর কখনই দুর্ভাগ্যের শিকার হতে হবে না। আমার এবং তোমার প্রতি এমন সন্তোষ প্রকাশ করবেন, যার পরে আর কোনোদিন রাগান্বিত হবেন না।
প্রিয় পাঠক! সবার প্রতি আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা রইলো।