অনুবাদক : জুনায়েদ জুলফিকার
সম্পাদনা : আবদুল্লাহ আল মাসউদ
ভাষা সম্পাদনা ও বানান : আহসান ইলিয়াস ও সালমান মোহাম্মদ
গ্রীষ্মের তাপদাহে ফেটে চৌচির হওয়া জমি যেমন আকাশ থেকে নেমে আসা শীতল বারিধারার প্রতীক্ষায় প্রহর গোনে; তেমনি মানুষের অন্তরও অনেক সময় গুনাহের পঙ্কিলতায় আবিল হয়ে বড় কোনো ব্যক্তিত্ত্বের আলোকোজ্জ্বল নসিহতের সন্ধানে থাকে। যা তার তপ্ত হৃদয় শীতল করবে। ভাঙা মন জোড়া লাগাবে। শয়তান আর নসফের জালে আটকা পড়া মানসকে করবে শৃঙ্খলমুক্ত।
নসিহতমূলক আলাপন উলামাগণ অনেক সময় স্বতন্ত্র গ্রন্থে করেন, অনেক সময় ভিন্ন বিষয়ের ভেতর দিয়ে তা ছড়িয়েছিটিয়ে রাখেন। সচেতন পাঠককে সেখান থেকে সযত্নে তা কুড়িয়ে নিতে হয়। কিন্তু একবিষয়ের রচনার পাতা থেকে অন্য বিষয়কে গভীর দৃষ্টি হেনে দক্ষ ডুবুরির মতো সমুদ্রের তলদেশ থেকে মনি-মুক্তা আহরণের ন্যায় তুলে আনতে কতজনই বা পারে? কয়জন পাঠকেরই বা থাকে এমন সুদূরপ্রসারী দৃষ্টি ও পাঠ বিচক্ষণতা? এসব কথা বিবেচনা করে দক্ষ পাঠক অনেক সময় নিজের আহরিত নসিহতের সেই টুকরোগুলো সুবিন্যস্ত করে অন্যদের সামনে তুলে ধরার প্রয়াস পান।
আমাদের হাতে থাকা বইটিও এমন একটি সংকলন। আরবের প্রখ্যাত আলিম ও সুলেখক সালেহ আহমাদ শামি ফতোয়া ইবনে তাইমিয়া অধ্যয়নকালে নসিহতমূলক কথাগুলো আলাদা করেন এবং পরে সেগুলোকে মলাটবদ্ধ করে পাঠক সমীপে মাওয়ায়িজে ইবনে তাইমিয়া নামে পেশ করেন। সেই বইয়েরই বাংলা ভাষান্তরিত রূপ হলো- জীবন গড়ার কথামালা।