কেউ যদি আমাকে জিজ্ঞাসা করে, নারী যদি চায়—
তার অতৃপ্ত আত্মাকে তৃপ্ত করতে,
অস্থির অশান্ত মনকে স্থির প্রশান্ত করতে,
জীবনের সকল কালোকে আলোয় বদলে দিতে,
মহাসৌভাগ্যের চিরকাঙ্ক্ষিত সবুজ ‘পৃথিবীতে’ পৌঁছে যেতে
এবং আনন্দময় সুখময় আখেরাতময় দাম্পত্য জীবনের পাথেয় সংগ্রহ করত—
তাহলে কী করবে?
আমি বলবো, তাহলে তাকে পড়তে হবে—
আসআদু ইমরাআতিন ফিল আলাম—নারী তুমি ভাগ্যবতী।
অপূর্ব এক ছন্দময়তায় প্রবাহিত হয়েছে এ বইয়ের স্রোতধারা। এখানে আছে ভাষার শিল্প-সুষমা, চমৎকারিত্ব। আছে গল্পের ছায়া ও মায়া। আছে আরো উপন্যাসের এঁকেবেঁকে চলা— ছলোছলো স্বচ্ছধারা।
নারীমনের নিভৃত কোণে বাস করে নারীর যে-নাজুক ও লাজুক অনুভূতি, তার প্রান্ত ধরে লেখক টান দিয়েছেন বার বার— সাধারণ নারীকে ‘আয়েশা-খাদিজাময়’ মহিয়সী করে তোলার জন্যে। আর এ জন্যে তিনি কাজে লাগিয়েছেন তাঁর বিস্ময়কর নান্দনিক ভাষা ও চিত্তাকর্ষক উপস্থাপনা। ছড়িয়ে দিয়েছেন কুরআন-হাদীসের হীরে-মোতি-পান্না।
প্রিয় বোন! সূচিতে একটু চোখ ফেরাতে পারেন! সাক্ষ্য দিচ্ছি, চোখ আপনার ভরে যাবে। হৃদয়-মনে সুশীতল হাওয়া বয়ে যাবে মৃদুল তালে। উচ্ছ্বাস সৃষ্টি হবে। ‘পাঠ-আগ্রহ’ ডানা মেলে উড়তে থাকবে। সূচিপাঠ শেষ না-করেই মূলপাঠে প্রবেশ করতে মনের ওই আঁকুপাঁকু— কী করে ‘দমন’ করবেন তখন আপনি— আমি জানি না।