লেখক : মাওলানা মুহাম্মদ হেমায়েত উদ্দীন প্রকাশনী : মাকতাবাতুল আবরার বিষয় : ইসলামী জ্ঞান চর্চা, ইসলামি মনোবিজ্ঞান মনোবিজ্ঞানের সত্যীকার পরীক্ষা নিরীক্ষা শুরু হয় ১৮৭৯ সাল থেকে। এই সময় জার্মানীর দার্শনিক ও চিকিৎসক উন্ড(Wund ১৮৩২-১৯২০) সাহেব লিপজিগে মনোবিজ্ঞান সম্বন্ধীয় এক গবেষণাগার স্থাপন করেন। এখান থেকেই মনোবিজ্ঞানের আধুনিক যুগ ধরা হয়। এর পূর্বে গ্রীক দর্শনের যুগ থেকে উনবিংশ শতাব্দির শেষার্ধ পর্যন্ত সময়কে মনোবিজ্ঞানের প্রাচীন যুগ বা প্রাক বৈজ্ঞানিক যুগ বলা যায়। খৃষ্টীয় ১৮৭৯ সাল থেকে শুরু করে বর্তমানকাল পর্যন্ত সময়কে মনোবিজ্ঞানের বৈজ্ঞাননিক যুগ বা আধুনিক যুগ বলা হয়, যার সূচনা হয় জার্মানিতে উন্ড কর্তৃক মনোবিজ্ঞানিক গবেষণাগার স্থাপনের মধ্য দিয়ে। উন্ডের গবেষণাগার স্থাপনের পর পরই আমেরিকার বিভিন্ন স্থানে মনোবৈজ্ঞানিক গবেষণার জন্য আরও কিছু গবেষণাগার প্রতিষ্ঠিত হয় এবং এই সব গবেষণাগারে কার্যরত মনোবিজ্ঞানীরা নতুন নতুন দৃষ্টিভঙ্গীর সূত্রপাত করেন। এভাবে মনোবৈজ্ঞানিক তথ্য ও তত্ত্বগুলো গবেষণা ও আলোচনা পর্যালোচনার মধ্য দিয়ে পরিবর্তিত, পরিমার্জিত ও পরিবর্দ্বিত হতে হতে বর্তমান স্তরে এসে উন্নীত হয়েছে। এ হল সাধারণ মনোবিজ্ঞানের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস। . ইসলাম তথা কুরআন সুন্নায় মনোবৈজ্ঞানিক তথ্য ও তত্ত্বের পর্যাপ্ত সমাহার রয়েছে। যা মানব জীবনের কথাবার্তা, চলা-ফেরা, আচার-আচরণ আকীদা-বিশ্বাস, আবেগ-অনুভূতি ইত্যাদি সার্বিক ক্ষেত্রে কার্যকর রয়েছে। তবে এসব মনস্তাত্ত্বিক নিয়ম-নীতি ও মনোবৈজ্ঞানিক বিষয়গুলোকে স্বতন্ত্রভাবে শাস্ত্র আকারে রূপায়ণ ও সংকলনের কাজে কেউ এগিয়ে আসেননি বা এগুলোর উপর গবেষণার জন্য কোন গবেষণাগার প্রতিষ্ঠার কথাও শোনা যায় না। বিভিন্ন তাফসীরের কিতাব, হাদীছের ব্যাখ্যা গ্রন্থ, পূর্বসূরী উলামা ও মাশায়েখদের রচনাবলী এবং মনীষীদের বই পত্রে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা এ জাতীয় তথ্য ও তত্ত্বগুলোকে একত্রিত করে সুনির্দিষ্ট পদ্ধতি অনুসারে সেগুলোকে শাস্ত্র আকারে রূপ দেয়ার চেষ্টা করা হয়েছে এই ‘ইসলামী মনোবিজ্ঞান’ গ্রন্থে। আল্লাহ তা’আলাই ভুল-ত্রুটি ক্ষমা করনেওয়ালা।
৳ 140.00 ৳ 240.00
Cash On Delivery Purchase & Earn Delivery Charge Tk. 60(Online Order)
Product available
Share:
Top