বইটি পড়তে পড়তে ই সবচেয়ে বড় যে কাজটা করলাম, সেটা হল আমার ৫ মাসের আগের পুরাতন রোগীকে ফোন দিয়ে বললাম, আপনার তো ফলো আপের সময় চলে এসেছে। রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিসের রোগী দেখা দরকার। গ্রোথ হ্যাকিং এর একটা তত্ত্ব হলঃ আপনি সব সময় নতুন গ্রাহক খুজবেন না, বরঞ্চ পুরাতন গ্রাহককেই বেশি সময় দিয়ে অনেক বেশি মুনাফার কাজে লাগাতে পারবেন। মুনির হাসান স্যার এমন একজন লেখক, যার বুদ্ধি গুলো শুনে মনে হল, যে তিনি ক্লাসে বসে লেকচার দিচ্ছেন না। ভাই ব্রাদারের মত পাশে বসে বলছেন আরে এই কর ওই কর। আর বইয়ের বিষয়টাও অন্য রকম। আগে খালি লেখক বলতে গল্প উপন্যাস, প্রবন্ধ কবিতা ইত্যাদি মনে হত। আজকাল ভালো ভালো লেখক অন্যরকম লেখা লিখছেন। উনি উনার আগের বই ‘পড়ো পড়ো পড়ো’ এর বিক্রির পিছনের রহস্য যেমন উন্মোচন করেছেন। বলেছেন না মার্কেট হ্যাকিং পদ্ধতি। বই বাজারে বইয়ের প্রথম অংশ দেখা যেত না, এখন একটু পড়ে দেখুন এর কল্যানে কিছু তো বিক্রি বাড়ছে। এটা অনেকটা অনলাইনে গুড় চাটার মত। ব্লগ, প্রি অর্ডার ফিচার একটা হ্যাকিং ও বটে। মানে এই পদ্ধতি মার্কেটিং পড়ে হোক না পড়ে হোক অনেকেই ব্যবহার করছেন। বইমেলায় অনেক লেখক বসে থাকেন পাঠকের কাছে অটোগ্রাগ দেবার জন্য। বিক্রিত বইয়ে তারা স্বাক্ষর দিচ্ছেন। এখন নতুন ভাবে যোগ হয়েছে-লেখকের সাথে সেলফি। অটোগ্রাফ ওয়ালা বই- একজন এর কাছে থাকত। কিন্তু সেলফি ছড়িয়ে যাচ্ছে তার সকল ফ্রেন্ডদের কাছে। একজন গ্রাহক নিজেই মার্কেটিয়ার হয়ে যাচ্ছেন। একটি ছবি, একটি রিভিউ কিন্তু অনেক গ্রাহক কে টেনে নিয়ে আসতে পারে। তবে নেটওয়ার্কিং এর যুগে বইয়ের নিচে খালি পাঠক কেন, লেখকদের ও ধন্যবাদ বা মন্তব্য ফিচার যোগ থাকলে মন্দ হয় না। যেটা কিছু কিছু ক্ষেত্রে বই পোকা গ্রুপে হয়ে থাকে। তা। সবার সেকেন্ড ডিফারেন্সিয়াল শুভ হোক।