লেখক : ড. মুহাম্মাদ আলী আল হাশেমী প্রকাশনী : মাকতাবাতুল হাসান বিষয় : আদব, আখলাক অনুবাদ: ইসমাঈল রফিক পৃষ্টা সংখ্যা: ৩৫২ বাধাই ধরন: হার্ড কাবার মানুষের জীবনের প্রতিটি অংশ নিয়ে আল্লাহ ও তাঁর রাসুল সা. কথা বলেছেন। ছোট বা বড় কোনো বিষয়ই বাদ দেওয়া হয়নি। রবের সাথে, নিজের সাথে ও চারপাশের মানুষের সাথে সম্পর্ক কেমন হতে হবে―সব বিষয় কুরআন ও হাদিসে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হয়েছে। সংক্ষেপে বলতে গেলে, ইসলাম মানুষের আদর্শ ব্যক্তিজীবন ও সামাজিক জীবনের পূর্ণাঙ্গ রূপরেখা তৈরি করে দিয়েছে। এরপরও দেখা যায়, ইসলাম মুসলমানদের থেকে যা চায় আর মুসলমানরা নিজেদের জন্য যা চায়―এ দুইয়ের মাঝে রয়েছে বিস্তর তফাৎ। অবশ্য অল্পসংখ্যক লোক, যাদের আকিদা বিশুদ্ধ, ইসলাম সুন্দর, অন্তর পরিশুদ্ধ ও মানসিকতা উন্নত; তারা ইসলামের দাবি ও চাওয়া অনুযায়ীই জীবনযাপন করে থাকেন। সুতরাং ব্যক্তিজীবন থেকে শুরু করে জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে মুসলমানকে এমনই হতে হবে, যেমনটি ইসলাম কামনা করে। এর জন্য কুরআন ও হাদিসে যেসব উত্তম স্বভাব-চরিত্র ও গুণাবলির প্রতি উৎসাহিত করা হয়েছে সেগুলো অবলম্বন করা বাঞ্ছনীয়।ইসলামের আলোকে একজন আদর্শ মুসলিমের পরিচয় কেমন হবে, এ বিষয়টি স্পষ্ট করার লক্ষ্যেই সিরিয়ার প্রখ্যাত শাইখ ড. মুহাম্মাদ আলী হাশেমী রহ. মুসলমানদের জীবনসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন আয়াত, হাদিস ও আসারের আলোকে রচনা করেছেন বৃহৎ কলেবরের গ্রন্থ ‘শাখসিয়্যাতুল মুসলিম’ বা ‘আদর্শ মুসলিম’। এতে প্রভুর সাথে মুসলমানের সম্পর্ক কেমন হবে, নিজের সাথে মুসলমানের সম্পর্ক কেমন হবে, পিতা-মাতার সাথে মুসলমানের সম্পর্ক কেমন হবে, স্ত্রীর সাথে মুসলমানের সম্পর্ক কেমন হবে, সন্তানদের সাথে মুসলমানের সম্পর্ক হবে, আত্মীয়-স্বজনদের সাথে মুসলমানের সম্পর্ক হবে, ভাই-বন্ধুদের সাথে মুসলমানের সম্পর্ক হবে―সকল বিষয় সম্পর্কেই উঠে এসেছে বিশদ আলোচনা। যাতে মুসলমানদের সামনে; বিশেষ করে প্র্যাক্টিসিং মুসলমানদের সামনে বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে যায় এবং নিজেদের ভুল ও ত্রুটিগুলো উপলব্ধি করে ইসলামের অমীয় সুন্দর চরিত্রে নিজেদের ভূষিত করতে পারে।