আল-কুরআনুল কারীম : বাংলা অনুবাদ
প্রকাশনী : সবুজপত্র পাবলিকেশন্স
বিষয় : আল কুরআন আল কুরআনের তরজমা ও তাফসীর

প্রকাশনী : সবুজপত্র পাবলিকেশন্স বিষয় : আল কুরআনের তরজমা ও তাফসীর, আল-কুরআন অনুবাদ: মাসঊদুর রহমান নূর অনুবাদ-সম্পাদনা: হাফেয মাহমুদুল হাসান মাদানী পৃষ্ঠা: ৭৬০; অফসেট পেপার, হার্ড বাঁধাই সাইজ- ৯.৫/৬.২/২.১ ইঞ্চি ওজন- ১.২ কেজিঅনুবাদের বৈশিষ্ট্য:১. সর্বস্তরের বাংলা ভাষাভাষীদের কথা বিবেচনায় রেখে আনুবাদটি করা হয়েছে। অনুবাদের জন্য ভাষাকে এতটুকু সহজ-সরল ও প্রাঞ্জল রাখার চেষ্টা করা হয়েছে; যাতে ন্যূনতম পড়তে পারেন, এমন কেউ-ও এর থেকে উপকৃত হন। পাশাপাশি ভাষার মানকে এমন একটি উচ্চতায় রাখা হয়েছে, কুরআনের অনুবাদের ভাষার জন্য যা উপযুক্ত ও সমীচীন।২. অনুবাদের ক্ষেত্রে বিভিন্ন সময়ের বিভিন্ন বিশুদ্ধ তাফসীর নজরে রাখা হয়েছে। এক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য হলো- তাফসীরে ইবনে কাছীর, তাফসীরে কুরতূবী, তাফসীরে জালালাঈন, আইসারুত তাফাসীর, আত্-তাফসীরুল মুয়াস্সার, তাফহীমুল কুরআন, তাফসীরে মাআরিফুল কুরআন। এসব মহান খেদমতের সাথে সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি সশ্রদ্ধ কৃতজ্ঞতা ও দুআ রইলো।৩. কুরআনের যেসব শব্দ বা পরিভাষা বাংলাতেও একইভাবে প্রচলিত, সেগুলো অনুবাদ না করে মূল শব্দই রাখা হয়েছে। অপেক্ষাকৃত কম প্রচলিত শব্দের ক্ষেত্রে ব্র্যাকেটের মধ্যে অর্থ লিখে দেয়া হয়েছে। প্রয়োজনে ফুটনোটে টীকার মাধ্যমে অর্থ বা উদ্দেশ্য পরিষ্কার করা হয়েছে।৪. পাঠকরা যাতে আয়াতের অর্থ পুরোপুরি বুঝে নিতে পারেন, সর্বাবস্থায় সেদিকে গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। এ জন্য যেখানেই অর্থ বুঝে নিতে জটিলতা দেখা দেয়ার সামান্য আশঙ্কাও মনে হয়েছে, সেখানেই ব্র্যাকেটের মধ্যে সহজভাবে তা বোঝানোর চেষ্টা করা হয়েছে। লক্ষ্যণীয় যে, কুরআনের মূল কোনো শব্দ বা আয়াতের অর্থ ব্র্যাকেটের মধ্যে রাখা হয়নি। আবার বাড়তি সংযোজিত কোনো শব্দ বা বাক্য মূল অনুবাদের সাথে জুড়ে দেয়া হয়নি। এক্ষেত্রে ব্র্যাকেটে সংযোজিত বাড়তি শব্দসমষ্টি মূল বাক্যের সাথে মিলিয়ে পড়তে যেন অসুবিধা না হয়, সেদিকে লক্ষ্য রাখা হয়েছে। অনুরূপ, ব্র্যাকেটের শব্দসমষ্টি ছাড়াও যাতে মূল বাক্যের অর্থ বোধগম্য হতে পারে, সেদিকেও মনোযোগ দেয়া হয়েছে।৫. আল্লাহ কর্তৃক তাঁর নবী-রাসূলদেরকে সম্বোধনের ক্ষেত্রে পুরো অনুবাদেই ‘আপনি’ ব্যবহার করা হয়েছে। নবী-রাসূলদের সম্প্রদায়ের লোকেরা তাদেরকে সম্বোধনের ক্ষেত্রে অবস্থা-অবস্থান ও পরিস্থিতি অনুযায়ী ‘আপনি’ বা ‘তুমি’ ব্যবহৃত হয়েছে। পুরো অনুবাদের কোথাও তুই/তোরা ব্যবহার করা হয়নি।৬. কুরআনের যেসব স্থানে বিভিন্ন আকীদাসংশ্লিষ্ট বিষয় আলোচিত হয়েছে, অনুবাদের সময় সেখানে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামা‘আতের আকীদাকে সতর্কভাবে সংরক্ষণ করা হয়েছে। আসমা ওয়াস সিফাতের অনুবাদের বেলায়ও অনুরূপ।৭. পবিত্র কুরআনের বহু স্থানে মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীন তাঁর নিজের ক্ষেত্রে বহুবাচক সর্বনাম তথা ‘আমরা’, ‘আমাদের’ ব্যবহার করেছেন। মহান আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআলার একচ্ছত্র আধিপত্য, রাজত্ব, কর্তৃত্ব, শ্রেষ্ঠত্ব ও বিশালত্ব বিবেচনায় অনুবাদের সময় এসব স্থানে ‘আমি’, ‘আমার’ ব্যবহার করা হয়েছে। বস্তুত, আল্লাহর তাঁর নিজের ক্ষেত্রে এই যে বহুবাচক সর্বনামের ব্যবহার- এটি কোনোভাবেই কোনো কিছুতে তাঁর সাথে কেউ বা কারো অংশীদারত্বের সূচক নয়। এটি একান্তই তাঁর বিপুল ও বহুমুখী শ্রেষ্ঠত্বের স্মারক। তিনি একই সঙ্গে স্রষ্টা, রিযিকদাতা, লালন-পালনকারী, জীবন ও মৃত্যুদাতা। তিনি রাজাধিরাজ, পরাক্রমশালী ও সকল মর্যাদার আধার। কোনো কিছুই তিনি কারো সাহায্য নিয়ে করেন না। তাঁর সক্ষমতা সবকিছুর ঊর্ধ্বে। সামষ্টিকতার দৃষ্টিকোণ থেকেই আল্লাহ তাঁর নিজের শানে এভাবে বহুবাচক সর্বনাম ব্যবহার করেছেন। অনুবাদের ক্ষেত্রে তাঁর শ্রেষ্ঠত্ব ও একক কর্তৃত্বের সম্মানে তাঁর জন্য একবচন সর্বনাম গ্রহণ করা হয়েছে।
৳ 430.00 ৳ 620.00
Cash On Delivery Purchase & Earn Delivery Charge Tk. 60(Online Order)
Product available
Share:
Top