যুগে যুগে এই পৃথিবীর অসংখ্য সমাজ বিজ্ঞানী, রাষ্ট্রবিজ্ঞানীর মতো মানুষজন সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য নিজের তৈরি আইনের মাধ্যমে চেষ্টা করেছেন। কেউ পিতার আদর্শ দিয়ে, কেউ শিক্ষকের আদর্শ দিয়ে, কেউবা নেতার আদর্শ দিয়ে, আবার কেউ সামাজিকভাবে সম্মিলিত চেষ্টার মাধ্যমে ক্ষান্ত হয়েছেন। তবে সবাই সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে চাইলেও এই পৃথিবীতে বার বার শান্তির পরিবর্তে অশান্তির দাবানল দাউ দাউ করে জ্বলতে ইন্ধন জুগিয়েছেন। তবে কিছু মানুষ এই পৃথিবীতে আংশিক ভাবে বা পূর্ণতার সাথে সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠায় সফলতা অর্জন করতে পেরেছিলেন, যেহেতু তাঁদের প্রত্যেকেই আল্লাহর দেওয়া নিয়মনীতি ও আইন কাঠামোকে সম্মুখে রেখেছিলেন। আজ আমরা নিজেদেরকে সর্বোচ্চ মানের উৎকৃষ্ট জাতি হিসেবে, সামাজিক প্রাণী হিসেবে পৃথিবীর বুকে উপস্থাপন করি বা দাবি করি, অথচ আমাদের সমাজের শান্তি প্রতিষ্ঠায় আদর্শ সমাজ গঠনে আমাদের করণীয় কি তা নিয়ে একটুও ভাবি না। আসলে আমাদের একটু ভাবা দরকার। আজ আমি এমন একটি বিষয়ে কলম ধরেছি, যেখানে এই বিষয়ে এক কলম লেখার যোগ্যতাও আমার নেই। আমার ও আমাদের সমাজের বর্তমান দৃশ্য দেখে আমি বারেবার হতাশ হই। সভ্যতার কিছুটা পরিবর্তন হলেও একটি আদর্শ সমাজ গঠনে আমাদের করণীয় যতগুলো বিষয় আসা দরকার, আমার ক্ষুদ্র জ্ঞানে ততটুকু হয়তো উঠে আসবে না এবং এই লেখা অনেকেই হয়তো গ্রহণ করবে না, তথাপি একজন সচেতন মানুষ হিসেবে সমাজের ভাল ও মন্দের প্রতি আমার যে দ্বায়বদ্ধতা, তার উপলব্ধি থেকেই এ লেখার সূচনা। বইয়ের নাম: একটি আদর্শ সমাজ গঠনে আমাদের করণীয় লেখক : মোঃ সালাউদ্দীন (মানিক) প্রকাশনায়: মুসলিম ভিলেজ